কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারে মেঘনা নদীভাঙনে দুটি রাইস মিলসহ ১৫টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ রাইস মিলে ঘুমন্ত দুই যুবক স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক বস্তা ধান ও চাল নদীতে তলিয়ে গেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা পাড়ে এই ভাঙন শুরু হয়। নিখোঁজ যুবকরা হলেন— মো. শরীফ (৩৫) ও মো. মোস্তাক মিয়া (২৮)। ভাঙনের সময় তারা ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মিলের শ্রমিকরা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে মেঘনা নদীর পাড়ে দুটি রাইস মিলে ভাঙন শুরু হয়। দুটি রাইস মিলে ৩০টি কাঁচা ঘর ছিল। এসব ঘরে মিলের নারী-পুরুষ শ্রমিকরা থাকত। এ ছাড়া মিলের মালপত্র মজুত রাখত ঘরগুলোতে।
নিখোঁজ শ্রমিক শরিফের ছেলে হানিফ মিয়া বলেন, সকাল ৯টার দিকে আমরা রাইস মিলের মাঠে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি মিলের পূর্বদিকে ভাঙন শুরু হয়েছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার বাবা নেই। প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক আ. রশিদ জানান, চোখের পলকে রাইস মিলটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভৈরব ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ইনচার্জ আজিজুল হক রাজন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। নিখোঁজ দুজন শ্রমিককে পানি থেকে উদ্ধারের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, নিখোঁজ দুজন শ্রমিককে উদ্ধার করতে ফায়ার কর্মীরা কাজ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কোনো হাত নেই। ভাঙনরোধকল্পে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।